প্রাণের স্তরে, আমাদের জানা রয়েছে পাঁচ রকম প্রাণের কথা–প্রাণ, অপান, ব্যান, উদান, সমান। আপনারা দেখতেই পাবেন, এই বিষয়ে অনলাইনে প্রাপ্তব্য যোগশাস্ত্রগুলিতে বিস্তারিত পাবেন। কাজেই, এই পাঁচের যে সমাহার, এদের প্রত্যেকের এক একটি বিশেষ কাজ রয়েছে, প্রত্যেকের একটি ক’রে বিশেষ কাজ রয়েছে আমাদের শরীরে, এমন নয়, এরা প্রত্যেকে একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।কাজেই যখন এরা একটি সাম্যাবস্থা অর্জন করে তখন সেই অবস্থাকে বলা হয় শৌচ, কারণ প্রাণ সুস্থিতি লাভ করলে মনকেও সুস্থিতি দান করে, মনকে শান্ত রাখে। মনের শান্তিকেও শৌচ বলা হয় এবং শৌচের ভূমিকা কী? এটি আমাদের সেই ক্ষমতাপ্রদান করে, যার সাহায্যে আমরা ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক কর্তব্যগুলি সম্পাদন করতে পারি, কেন? শৌচকে সামান্য ধর্ম অর্থাৎ সকলেরই সাধারণ কর্তব্য ব’লে মনে করা হয় এবং সনাতন ধর্মের সমস্ত অংশে, তা সে ভক্তি হোক, বেদান্ত হোক, কিংবা যোগ, শৌচ হ’ল একটি প্রাথমিক শর্ত।
যোগসূক্তে আপনি নিয়মসমূহ পাবেন, যা হ’ল প্রাথমিক নিয়মাবলি। ভক্তিতে শৌচের কথা রয়েছে, এই শৌচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্ত কিছুর মধ্যে শৌচ একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার কারণ একটি স্মৃতিশাস্ত্র গ্রন্থে এই বিষয়টি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, সমস্ত করমে…(শোনা যায় না)…শৌচ, শৌচ ছাড়া আপনার সমস্ত কর্ম বিফলে যাবে, কোনো ফল মিলবে না। কাজেই এমনকী ডাক্তারি শল্যচিকিৎসার জন্যও বাহ্য শুচিতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়, তাই কি না? এটি একটি উপমা, কাজেই যদি আপনি আধ্যাত্মিক কর্ম, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, আধ্যাত্মিক ও ধার্মিক ক্রিয়াগুলির কথা চিন্তা করেন, তাহলে দেখবেন এগুলির জড়, প্রাণ এবং মন – এই তিন স্তরেই শৌচের প্রয়োজন রয়েছে।